কবিতাঃ “মরিচিকার ফাঁদ” মুস্তাক আহমেদ

আমি বেলাভুমিতে নেমেছিলাম
পুলকে সাগর জলে খেলা করতে
দাড়িয়ে ঢেউয়ের খেলা দেখছিলাম,
মনে হল আমি তলিয়ে যাচ্ছি!
চিৎকার করে বন্ধুকে ডাকলাম
বন্ধু….. আমাকে বাঁচাও…!
সে আমার দিকে তাকিয়ে
রুষ্ট হাসছে…..!
আমি তলিয়ে যাচ্ছি
সে অপলক আমায় দেখছে!
অবিরাম চেষ্টা করছি,
যতই উঠতে চেষ্টা করছি
ততই তলিয়ে যাচ্ছি!
দিশেহারা আমি চিৎকার করছি!
যখন তাকালাম আর কোন আশা নাই
বন্ধু চলে গেল, বিজয় উল্লাস করে।
আমি চিৎকার করে বলছি-
তোমায় বিশ্বাস করেছিলাম বন্ধু!
আমি আজো তোমায় বিশ্বাস করি,
আমি আজো তোমায় ভালবাসী।
বিশ্বাস কর :- কখনও ভাবিনি
তুমি আমার থেকে ভিন্ন
সর্বহারা এই আমি
তোমাকে অবলম্বন করেছিলাম।
হতাশার আঁধারে তোমাকে আলো ভেবেছিলাম।
জীবনের ঝড়ে তোমাকে
সুরক্ষার দেয়াল ভেবেছিলাম।
আমার ভাবনা গুলো এমন মিথ্যে হল!
এমন মরিচিকার ফাঁদে পড়ে আছি আমি!

বন্ধু ভাল থাকো,
আমার শেষ নিঃস্বাস যতক্ষণ বইবে
আমি তোমার শুভ কামনা করি।
যাই কর – সামান্য অর্থদিয়ে
বন্ধুত্বের বিচার করনা বন্ধু!
ভালবাসাকে অস্বীকার করনা।

সহসা সাগর ঢেউয়ে দুলতে দুলতে
কোথ্থেকে এলো ভেলা
ডুবেই গিয়েছিলাম প্রায়!
জোয়ারের ঢেউয়ের দোলায়
আকড়ে ধরে ভেলা
উঠে এলাম পাড়ে।
বন্ধু! ভাল থেক চিরদিন।
বিদায় বিদায় বিদায়!